শান্তনু দাস (পুরুলিয়া), ১৯ জুলাই : আজও পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত
থেকে অভাবের তাড়নায় আবালবৃদ্ধাবনিতা মহিলাদের পাড়ি দিতে হয় ভিন্ন রাজ্যে। তাদের
কাছে প্রশাসনের ভাষা জানা নেই। জানা নেই যে 'শিশু শ্রমিক' বেআইনি। নেই জানা স্কুল
ছুট একটি জাতীয় ব্যাধি। আর সেই অজানার পেছনে জুড়ে রয়েছে আজ দারিদ্র্য। এরা শুধু
চায় তাদের পেটে দু-মুঠো অন্য পড়ুক। যার একমাত্র দিশা হল শিশুশ্রম। পেটের জ্বালা
আর অভাবের তাড়নায় পুরুলিয়া জেলার  তিনটি ব্লকের ৭ জন শিশু শ্রমিক কাজের
সন্ধানে পাড়ি দিয়েছিল রাঁচিতে। যেতে হয়েছিল নিজেদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য সঙ্গে
দরিদ্রের বোঝা কমানোর তাগিদে। কিন্তু সেই  ৭ টি নাবালক জানত না যে কখন কোন সময়
প্রশাসনের লোকেরা এসে এদের এই কাজে বাঁধা দেবে। রাঁচি প্রশাসন সূত্রে জানা যায় গত
১ মাস আগে পুরুলিয়া জেলার আড়ষা ব্লকের কৈলাস মাঝি ও দেবব্রত মাঝি, কেন্দা ব্লকের
নিতাই মাহাতো, ঝালদা ব্লকের জয়াল কাজি, প্রদীপ প্রামাণিক ও এস.কে নাসিম, কেন্দা
ব্লকের বৃহস্পতি মাহাতো --- এই তিনটি ব্লকের ৭ টি নাবালক কাজ করতে আসে
রাঁচি।কিন্তু অপারেশন মুসকান অভিযান(Smile Project) এর মাধ্যমে জানা যায় যে তারা
বিভিন্ন কাজে শিশু শ্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।তাই তাদের উদ্ধার করে রাঁচি হোমে
রাখা হয় এবং তা পুরুলিয়া শিশু সুরক্ষা আধিকারিকদের(Purulia Child Welfare
Committe) জানানো হয়। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১২ - ১৭ এর কাছাকাছি। এমন খবর পেয়ে
রাঁচি হোম ছুটে যান পুরুলিয়া জেলার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক শিশির মাহাতো ও ওই
বিভাগেরই সমাজকর্মী অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ওই ৭ টি নাবালকে উদ্ধার
করে তারা পুরুলিয়া জেলা শাসকের দপ্তরে এনে আজ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেন। এবং
তাদের পরিবারের কাছ থেকে একটি মুছলকা লিখিয়ে নেন যে তাদের স্বাভাবিক বয়স না হওয়া
পর্যন্ত তাদেরকে কোনও রকম শিশুশ্রমে নিযুক্ত করবেন না। 
 


 
No comments:
Post a Comment