ওয়েবডেস্ক, কথাবার্তা, বেলডাঙ্গা, ১৭ মে: করোনার ছোবলে এবং লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পড়াশোনা চালু করল বেলডাঙা থানার সারগাছি খাদিজা মডেল মিশন। এপ্রিলের শুরুতে প্রতিটি শ্রেণিভিত্তিক গ্রুপে সময় বেঁধে প্রশ্ন পাঠিয়ে প্রথম পর্বের পরীক্ষা নিয়ে চমকে দিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আসিফ সারওয়ার বলেন, 'একমাস গ্রুপে পড়াশোনা চলছে, ছাত্রছাত্রীরা গ্রুপে কিছু বুঝতে না পারলে প্রশ্ন পাঠাচ্ছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ তার উত্তর সাথে ভয়েস মেসেজ বা ভিডিওর মাধ্যমে সমাধান করে দিচ্ছেন।'
খাদিজা এ্যাড়ুকেশনাল এ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তত্ত্বাবধানে এই মিশন 2010 সালে চালু হয়। বর্তমানে 700 কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে এখানে। সোসাইটির সদস্য সেলিম উর রহমান বলেন, 'হঠাৎ লকডাউনের জন্য পূর্বনির্ধারিত প্রথম পর্বের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। তাই গ্রুপে পঠন-পাঠনের মানোন্নয়ন যাচাই করতে গ্রুপেই ১২ মে থেকে পরীক্ষা নিচ্ছি এবং ১৯ মে শেষ হবে। পরীক্ষা শেষ হবার পাঁচ মিনিটের মধ্যে উত্তর পত্রের ফটোকপি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।"
অভিভাবক অভিভাবিকা দের মধ্যে দারুণ সাড়া পড়েছে। তারা খুব খুশি এই পদ্ধতিতে। অভিভাবিকা দিলরুবা, নাদিরা সুলতানা, সাবিনা পারভীনরা বলেন, 'স্যাররা ক্লাসে পড়ানোর মতোই গ্রুপে প্রতিদিন পড়া দিচ্ছেন, হোম ওয়ার্কের জন্য একদিন অন্তর প্রশ্নপত্র দিচ্ছেন। আমরা বাচ্চাদের সেগুলো লেখাচ্ছি। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না সেখানে যেটুকু পাচ্ছি খুব উপকার হচ্ছে। এখন আবার পরীক্ষা হচ্ছে গ্রুপে। আমরা অন্তত বুঝতে পারছি বাচ্চার দুর্বলতা কোথায়, সেগুলো এবার ঠিক করতে হবে।' সহকারী প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলম চঞ্চল বলেন, 'এক সপ্তাহ ধরে প্রতিটি পড়ুয়ার বাড়িতে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ ফোন করে এল কেজি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণীভিত্তিক গ্রুপ খোলেন মোশারফ হোসেন, আব্দুল্লাহ্ ডালটন, মোস্তাফিজুর রহমান শিক্ষকগণ। সোসাইটি সম্পাদক মীর রবিউল ইসলাম বলেন, 'অভিভাবকগণ এই পদ্ধতিতে ভীষণভাবে সাড়া দিয়েছেন। পদ্ধতিটি আমরা যতদিন লকডাউন থাকবে সেটিকে যথাযথভাবে চালানোর ব্যবস্থা করব। আরও বলেন মিশনের ১০শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী এই পদ্ধতির আওতায় আসেনি তাদের বাড়ি আমরা প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।' সোসাইটির সভাপতি ওমর ফারুক মোল্লা এবং এলাকার শিক্ষাবিদসহ বিশিষ্টজনেরা এই পড়াশোনার এই বিকল্প পদ্ধতিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। জাতীয় শিক্ষক নুরুল ইসলাম মিয়া প্রাক্তন সুপারিনটেনডেন্ট বেলডাঙা দারুল হাদিস সিনিয়র মাদ্রাসা তিনি এই পদ্ধতিতে স্বাগত জানিয়েছেন এবং মিশন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


No comments:
Post a Comment