ওয়েবডেস্ক, কথাবার্তা, দাবিরুল ও ইনজামাম, বেলডাঙা, ১৫ আগস্টঃ গাছ বাঁচাও সচেতনতা বাড়াতে যখন বিশ্ববাসী নানা সচেতনতা মুলক কর্মসূচি নিতে ব্যস্ত। তখন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা চক্রের আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয় নিল অভিনব উদ্যোগ। গাছের গুরুত্ব বোঝাতে বুুুধবার পালন করল জন্মদিন। পরানো হল ফুলের তৈরি রাখি। কাটা হল তিনটে বড় কেক। হাজির ছিল গ্রামের প্রধান, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, স্কুলের পড়ুয়া, অবিভাবক সহ এলাকাবাসী।
১৯৫৪ সালে কয়েকজন চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় একটা ক্ষুদ্র বট গাছের চারা লাগাই। আজ প্রায় ৬৫ বছর হলো এই গাছের বয়স। দান করে চলেছে প্রাণদায়ী অক্সিজেন, আশ্রয় দিয়েছে বহু পাখিকে, শীতল ছায়ায় প্রাণ জুড়িয়েছে বহু মানুষ। আজও বিদ্যালয়ের ১৫০ জন ছাত্র ছাত্রী, ৪ জন শিক্ষক সহ রাঁধুনী সহ আগন্তুক অতিথিদের অকাতরে প্রতিদিন অক্সিজেন দিচ্ছে। আজ জল পর্যন্ত কিনে খেতে হয়, একমাত্র এই গাছ থেকেই বিনামূল্যে আমরা সবাই সবকিছুই পাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত জানান, আগামী বিশ্ব উষ্মায়ন ও জলের হাহাকার নিয়ে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ যাতে না হয় তাই অগ্রীম পদক্ষেপ ছড়িয়ে দিতে বিদ্যালয়ের এই প্রচেষ্টা। গাছরাও আমাদের পরিবারের আপনজন। তাদের বাঁচিয়ে রাখায় আমাদের দায়িত্ব। সমাজ সচেতন মূলক বার্তায় বিদ্যালয়ের চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। Happy Birthday to U প্লাকেট আছে। প্রথমেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে মাল্য দেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুশান্ত মন্ডল।
এদিন রজনীগন্ধার ফুল দিয়ে তৈরি রাখি সকলে মিলে পড়িয়ে দেয় বট গাছটিকে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনী বেলডাঙ্গা ব্লকের প্রতিবন্ধী প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে অভিনব রাখি পরায় আগন্তুক অতিথি থেকে শিশুদের। বিডিও, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক, শিক্ষা বন্ধু সহ প্রবীনদের হাতে গাছের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। শুধু শুধু কি আর জন্ম দিন মানায়, ভোজনেও ছিল চমক। লুচি, পায়েস, ডাল ও মিষ্টি মহা তৃপ্তি সহকারে ভোজন পর্বটাও চলল।



No comments:
Post a Comment