ওয়েবডেস্ক, কথাবার্তা, বহরমপুর, ১১ আগস্টঃ বহরমপুর গোরাবাজার আইসিআই স্কুলে বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন(বিজিটিএ) এর মুর্শিদাবাদ জেলা শাখার আয়োজনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হল রবিবার । রাজ্যের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের 'টিজিটি পে' স্কেলের দাবিতে দীর্ঘদিন রাজ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এই সংগঠন। ইতিমধ্যে, মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য মহাশয়া টিজিটি পে স্কেলের পক্ষে গত ২২শে জুলাই রায় দিয়েছেন। এই রায়কে কার্যকর করার জন্য আগামী ১৯শে আগস্ট 'কলকাতা চলো' ডাক দেওয়া হয়েছে। এই মহাসমাবেশের রূপরেখা তৈরিতেই আজকের সভা বলে জানান উদ্যোক্তারা। আজকের সভায় বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক/শিক্ষিকা সমবেত হয়েছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিজিটিএর রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব নীলাদ্রি শেখর সমাদ্দার, সাবির চাঁদ, সুদীপ সাহা, সাবির আলি, হাসানুজ্জামান, রাজীব হোসেন, অরিজিৎ, শুভাশীস সাহা প্রমুখব। সভাপতিত্ব করেন আইসিআই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড.জয়ন্ত দত্ত।
শিক্ষক(বিজিটিয়ান) তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও লেখক সাবির চাঁদ জানালেন, "রাজ্যের গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরি শিক্ষকগণের কেন্দ্রের ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী রাজ্যের রোপা'২০০৯ (৫ম রাজ্য পে কমিশন) এ পে স্কেল হওয়া উচিত ছিল পে ব্যান্ড-৪ ও গ্রেড পে ৪৬০০টাকা; কিন্তু এটা না করে গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরির শিক্ষকদের নাম দেওয়া হয়েছে 'পাস ক্যাটেগরি' ও 'পে স্কেল' করা হয়েছে পে ব্যান্ড-৩, গ্রেড পে-৪১০০ টাকা। এই বেতন বৈষম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন উদ্দেশ্যে মাধ্যমিক, জুনিয়র হাই ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ক্যাটেগরির শিক্ষক/শিক্ষিকাদের নিয়ে গড়ে উঠেছে অরাজনৈতিক সংগঠন বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিজিটিএ)। ইতিমধ্যে মহামান্য উচ্চ ন্যায়ালয়ে একাধিক মামলায় আমরা জিতেছি। মহামান্য আদালতের সেই সমস্ত রায়কে দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে আগামী ১৯শে আগস্ট কলকাতায় মহাসমাবেশ ও মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। টিজিটি পে স্কেলের জি.ও না বেরনো পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।"



No comments:
Post a Comment