ওয়েবডেস্ক, কথাবার্তা, বেলডাঙা, ১৩ জুন : বেলডাঙা হোমের দুই শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফলাফল করাই খুশি হোমের সদস্য সহ কর্তৃপক্ষ। এবারে হোম থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল দীপিকা মণ্ডল ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল রিম্পা মণ্ডল। দুজনই সাফল্যের সঙ্গে পাশ করেছে। দীপিকা মণ্ডলের প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৬ (৬৬.৫৭%)। রিম্পা মণ্ডলের প্রাপ্ত নম্বর ৩৮৪ (৭৬.৮%)। জানা গেছে, ২০০৪ সালে পারিবারিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে তারা দুজনে মায়ের হাত ধরে নেতাজি পার্ক পরিচালিত 'স্বধার গৃহ' হোমে আশ্রয় নেয়। 
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দীপিকা মণ্ডলের বাড়ি বেলডাঙা থানার মহুলা রাজারপুর গ্রামে। তার মা দয়াময়ীকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মিলে শারীরিক অত্যাচার করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।দয়াময়ী ছোট্ট মেয়ে দীপিকাকে নিয়ে কোর্টের দারস্থ হলে সেখান থেকে প্রথমে বোলপুরের একটি হোমে ও পরে ২০০৪ সালে বেলডাঙা এই হোমে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রিম্পা মণ্ডলের বাড়ি নওদা থানার বাইতিগাছা এলাকার রাজনগর গ্রামে। বিয়ের পর অতিরিক্ত পণের কারণে রিম্পার মা সুখী মণ্ডলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা। 
বেলডাঙা নেতাজী পার্ক পরিচালিত family counselling সহযোগিতায় কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। ২০০৪ সালে কোর্ট নির্দেশে মা সুখময়ী মণ্ডল এই  হোমে থাকতে শুরু করে। পরে কোর্ট নির্দেশে ২০০৮ সাল থেকে মেয়েও এই হোমে থাকতে শুরু করে। 
দীপিকা ও রিম্পা দুজনেই জানিয়েছে আইনের পথে তাদের  মায়েদের উপর অত্যাচারী দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে। দীপিকা মণ্ডল একজন উকিল হতে চাই আর রিম্পা মণ্ডল একজন নার্স হতে চাই। দীপিকা ও রিম্পার এই স্বপ্ন পূরণে আগামীতে সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
 


 
No comments:
Post a Comment