ওয়েবডেস্ক, ৩০ অক্টোবর ২০১৬ : পলাশি যুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে আছে 'বেইমান' আর 'বিশ্বস্ত' এই দুটি কথা ওতপ্রোতভাবে। বেইমান পক্ষের চক্রান্তে নবাব সিরাজদৌলাকে পরাজিত হতে হয়েছিল ইংরেজদের কাছে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশিযুদ্ধে। নবাবের প্রতি বিশ্বাসঘাতকের দল অট্টহাসি হেসেছিল সেদিন পলাশিপ্রান্তরে। নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রাণপণে যুদ্ধ করতে গিয়ে ইংরেজ কামানের গোলা ছিনিয়ে নিয়েছিল নবাব সিরাজের বিশ্বস্ত সেনানায়ক মীরমদনের প্রাণ। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কিছুটা দূরে রেজিনগরের ফরিদপুরে পীর ফরিদশাহের কবরের পাশে তাঁকে সমাধিত করা হয়। বর্তমানে মীরমদনের সমাধিক্ষেত্র পড়ে আছে চরম অবহেলায়। চারপাশের আগাছায় ভর্তি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। ইতিহাসের বীর সেনানায়কের সমাধির করুণ অবস্থা। মীরমদনের সমাধিক্ষেত্রে এই বেহাল দশার রক্ষণাবেক্ষণ এবং পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামোর গড়ে তোলার দাবিতে মুর্শিদাবাদ জেলার এক্স সার্ভিসম্যান অ্যাসোশিয়েসনের রেজিনগর ব্লকের সাব-ইউনিটের উদ্যোগে আজ এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় সমাধি প্রাঙ্গণে। মীরমদনের সমাধিতে মাল্যদান ও পলাশি যুদ্ধে মীরমদনের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলের মুর্শিদাবাদ এক্স সার্ভিসম্যান অ্যাসোশিয়েসনের জেলা সম্পাদক প্রদীপ কুমার, রাজ্য এক্স সার্ভিসম্যান অ্যাসোশিয়েসনের সদস্য আব্দুল রসিদ সেখ, বহরমপুর সাব-ইউনিটের সম্পাদক ইসাহক সেখ। রেজিনগর সাব-ইউনিটের সভাপতি হাবিবুল্লা বিশ্বাস ও সম্পাদক সাগর দেবনাথের পরিচালনায় এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভায় রেজিনগর সাব-ইউনিটের প্রায় ৫০ জন এক্স সার্ভিসম্যান উপস্থিত ছিলেন।


No comments:
Post a Comment