ওয়েব ডেস্ক : ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর বেলডাঙা থানার চৈতন্যপুর গ্রামের মেহেরনেগার বিবির পঞ্চম ও শেষ সন্তান রূপে ভূমিষ্ঠ হয় আব্দুল কাদির। জন্ম থেকেই কাদিরের দুই হাতের তালু ও ডান পায়ের পাতা নেই। সঙ্গে একশো শতাংশ প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট আছে। কিন্তু কাদিরের মনোবল সবার উপরে। তাই তো খেলা থেকে পড়া সবেতেই আজ প্রথম। চৈতন্যপুর বি বি রায় নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা শুরু করে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠ। ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওয়াসিফুজ্জামান বললেন- 'দারিদ্র ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে আব্দুল কাদির আমার বিদ্যালয় হতে সাফল্যের সঙ্গে উচ্চ বিদ্যালয় গেছে। সমস্ত শ্রেণীতে প্রথম ছিল। পাশাপাশি খেলাধুলায় কাদির সবার সেরা ছিল।' বাবা মুরসালিম সেখ বললেন- 'পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে কাদির ছোট। দুই বোনের বিয়ে জমিজমা বিক্রি করে দিতে হয়েছে। দুই দাদা বিয়ে করে আলাদা সংসারে। মাত্র দশ কাঠা ধানের জমি নিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। কাদিরের পড়াশোনার খরচ যদি সরকার দায়িত্ব নিতে তাহলে ভাল হত।' বর্তমানে কাদির দেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। কাদিরের হাতের লেখা ভীষণ সুন্দর। ফুটবল ও ক্রিকেট খেলতেও কাদির পটু। তবে সাইকেল চালাতে পারে না। অধিকাংশ দিন বন্ধুরা সাইকেলে করে কাদিরকে নিয়ে যায়। না হলে পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয়। এলাকাবাসীর আশা শান্তশিষ্ট মিশুকে এই ছেলেটি সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাক।


No comments:
Post a Comment