শান্তনু দাস(পুরুলিয়া), ২৩ জুলাই : মা, বাবা, স্ত্রী ও এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার।নির্বিষ-ই হোক বা বিষধর-ই যেকোনো বিষাক্ত সাপকে এক নিমেষে ধরে ফেলেন তিনি খেলার ছলে। বিশেষ কোনও প্রশিক্ষণ নেই। আর বেদেও নন। তবু যেকোনো বিষাক্ত সাপ ধরা তার বা হাতের খেলা। নাম মোবারক আনসারী। বাড়ি পুরুলিয়ার পাঞ্চেতের ঝাটি বাজারে। ৪৫ বছর বয়সী মোবারক পেশায় মোটর সাইকেল মেকানিক। তার মোবাইল নম্বর এখন জেলার প্রতিটি কোণে কোণে। কারোর বাড়িতে সাপ বেরোনোর কথা ফোন এলেই দিনরাত বিচার না করে চলে যান সাপ বন্ধুকে উদ্ধার করতে। শুধু তাই নয় তার এই দক্ষতার কথা শুনে বনদফতরও তার মোবাইলে ফোন করছে। মোবারকবাবু সেই সাপগুলো ধরে এনে ছেড়ে দেয় পাঞ্চেত পাহাড়ের জঙ্গলে। মোবারকবাবু জানান- '২০ বছর ধরে সাপ ধরে আসছি। আমার স্বপ্ন পাঞ্চেত পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রে একটা "স্নেক রেস্কিউ সেন্টার" গড়ার।যাতে সাপ গুলোকে জঙ্গলে বিভিন্ন জায়গায় ছেড়ে না দিয়ে সেগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সেকারণে মুখ্যমন্ত্রীকে একটা চিঠিও লিখেছি।' বনদফতরের বনাধিকারিক সোমা দাস জানান - 'সাপের পার্ক গড়ে তুলতে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। অনুমতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'


No comments:
Post a Comment