ওয়েব ডেস্ক : পাঁচরাহার রেলগেটের
জ্যাম বেলডাঙ্গার মানুষের প্রতিদিনের একটা সমস্যা। যানবাহন ও জনসংখ্যার
ক্রমবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠছে। ট্রেন আসার কিছুটা আগেই
রেলগেট পড়ে যায়। অন্তত ৭ মিনিট থেকে ১০ মিনিট রেলগেট পড়ে থাকে। সেই সঙ্গে যদি
ট্রেনের ক্রশিং হয় তাহলে আরও ৫ মিনিট থেকে ১০ মিনিট বেশি সময় ধরে গেট নামানো থাকে।
সাইকেল, মোটর সাইকেল, ট্রেকার, ম্যাজিক গাড়ি, টুকটুক, লছিমন গাড়ি, বাস, লরি - এরকম
নানা যানবাহন এসে জমে যায়। কখনো কখনো এই যানজট নিকটবর্তী ৩৪ নং জাতীয় সড়কের উপর
চলে যায়। ফলে সেখানেও যানজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবারে হাটবারে একটা বিদঘুটে
পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে রাস্তা জুড়ে। তারপরে টুকটুক ও ম্যাজিক গাড়ির রাস্তা জুড়ে
অবস্থান পথ চলতি মানুষের পথ চলার ক্ষেত্রে আরও বিপর্যয় হয়ে উঠে। বেলডাঙ্গার
মানুষের পাশাপাশি নওদার ত্রিমোহিনী-আমতলাগামী বাসগুলি এই রেলগেটের উপর দিয়ে
যাতায়াত করে। দীর্ঘক্ষণ জ্যামে আটকে থাকায় নির্দিষ্ট সময় বাসগুলি পৌঁছাতে পারে না।
স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের যানজটের ভোগান্তি প্রতিদিন বহন করতে হয়। তাছাড়া
বেলডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালের রোগীদের কখনো কখনো বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
নিয়ে যাওয়া বা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের হামেশাই যানজটে পড়তে
হয়। সময় মতো পৌঁছাতে না পেরে মরার উপর খাড়া হয়ে ঝুলে রেলগেটের এই যানজট রোগীদের
উপর। যানজটের কারণে ইতিপূর্বে কয়েকজন মোটর সাইকেল আরোহী লরির চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে মারা
গেছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে।
গত লোকসভা ভোটের আগে
শোনা যাচ্ছিল রেলগেটের যানজটের সমস্যা দূর করার জন্য আন্ডার পাস তৈরি হবে। এই
মর্মে বড়ো বড়ো হোডিংও লাগানো হয়েছিল। কিন্তু ভোট ফুরাতেই সেই প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক
ঝোল টানাটানিতে কপূরের মতো উবে গেছে। সমস্যা থেকেই গেছে। মানুষের আশাও থেকে গেছে। কবে হবে এর প্রতিকার।


ki hobe ,,,sobai jane rail gate er obostha.Faltu news
ReplyDelete