চিটফান্ডের
হাত থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয়ের
প্রকল্পকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু সেখানেও
সাধারণ মানুষের গচ্ছিত সঞ্চয়ের উপর সুদ কমিয়ে দেওয়াতে ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহক থেকে
এজেন্ট সবার।
গত পয়লা এপ্রিল থেকে সুদ কমানোয় ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিন্স অ্যাসোসিয়েশন বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি গ্রহণ করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অভিযোগ স্বল্প সঞ্চয়ের প্রকল্পে পোস্টাল লাইফ ইনস্যুরেন্স ও আর.পি.এল.আই-এর ক্ষেত্রে সরকার সার্ভিস ট্যাক্স বসিয়েছে। এতে গ্রাহককে নিজের টাকা জমা করতে গিয়ে প্রথম বছর তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং পরের বছর থেকে এক দশমিক সাত পাঁচ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে।
গত পয়লা এপ্রিল থেকে সুদ কমানোয় ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিন্স অ্যাসোসিয়েশন বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি গ্রহণ করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অভিযোগ স্বল্প সঞ্চয়ের প্রকল্পে পোস্টাল লাইফ ইনস্যুরেন্স ও আর.পি.এল.আই-এর ক্ষেত্রে সরকার সার্ভিস ট্যাক্স বসিয়েছে। এতে গ্রাহককে নিজের টাকা জমা করতে গিয়ে প্রথম বছর তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং পরের বছর থেকে এক দশমিক সাত পাঁচ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে।
সাধারণত ডাকঘরে
মাসিক সঞ্চয়ের প্রকল্পে কোনো গ্রাহক এক হাজার টাকা জমা করতে গেলে প্রতি বছর প্রতি
মাসে তাকে পঁয়ত্রিশ টাকা করে অতিরিক্ত ট্যাক্স হিসাবে দিতে হবে। দ্বিতীয় বছর প্রতি
মাসে আঠারো টাকা করে দিতে হবে। ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে গ্রাহককে অতিরিক্ত টাকা
গুনতে হচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের মধ্যে। সঞ্জয় মণ্ডল নামে এক গ্রাহক
বলেন-- সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে ডাকঘরে সঞ্চয়ের জন্য
প্রচার করে চিট ফান্ডের হাত থেকে বাঁচতে। আর এখন ট্যাক্স বসিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে
জোর করে টাকা আদায় করছে। এতো দেখছি ভদ্রবেশী চিট ফান্ড। নিজের টাকা জমা করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা
দিতে হয় তাহলে টাকা জমা করে লাভ কী ?
অন্যদিকে
মার্চ মাস থেকে অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হওয়াতে টাকা হেড অফিসে জমা দিতে আসতে হচ্ছে।
হেড অফিসে গিয়ে হয়রানির শেষ নেই। বেশির ভাগ সময়ে লিঙ্ক থাকে না। তিন-চার দিন ঘুরে
টাকা জমা করতে পারে না অনেকে।
আধিকারিক
সুব্রত রায় বলেন -- কী করব বলুন, নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে এর ফলে সমস্যার সৃষ্টি
হচ্ছে। বেশ কিছুটা সময় লাগবে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে।
গ্রাহকদের
অভিযোগ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগের মতো নিজ নিজ ডারঘরে জমা নিলেই পারতো।


No comments:
Post a Comment